Symphony Z60 Plus এর দাম কত

শোনেন ভাই, সিম্ফনি কোম্পানিটা কম দামে ভালো ফোন বানানোর জন্য খুব নাম করছে। এই যেমন ধরেন, সিম্ফনি জেড ৬০ প্লাস। এই ফোনটা দেখতেও সুন্দর আর দামটাও হাতের নাগালে।

এইবার আসেন ফোনের ভেতরে কি আছে সেইটা বলি:

  • ৬ জিবি র‍্যাম আছে, মানে ফোন একদম স্মুথ চলবে, আটকাবে না।

  • ১২৮ জিবি মেমোরি আছে, যা লাগে সব রাখেন, ফুরিয়ে যাবে না।

  • ডিসপ্লেটা ৬.৬ ইঞ্চি, মানে অনেকটা জায়গা জুড়ে ছবি আর ভিডিও দেখতে পারবেন।

  • পিছনে ক্যামেরা আছে দুইটা। একটা ৫০ মেগাপিক্সেলের, আরেকটা ২ মেগাপিক্সেলের। ছবি উঠবে একদম ঝাক্কাস।

  • আর সামনের ক্যামেরাও ৮ মেগাপিক্সেলের, যা দিয়ে সুন্দর সুন্দর সেলফি তুলতে পারবেন।

  • ব্যাটারিটা ৫০০০ mAh-এর, চার্জ একবার দিলে অনেকক্ষণ ধরে চলবে। সাথে ১৮ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিংও আছে, তাই তাড়াতাড়ি চার্জ হয়ে যাবে।

Gorilla Glass নামের একটা জিনিস দিছে, তাই স্ক্রিনে সহজে আঁচড় পড়বে না। ফোনের সাইডে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর আছে, এক টিপে ফোন খুলে যাবে। আর যা যা নতুন কানেকশন দরকার, সবই আছে এই ফোনে।

মোটকথা, কম দামে যারা ভালো ফোন কিনতে চান, তাদের জন্য সিম্ফনি জেড ৬০ প্লাস একটা ভালো পছন্দ হইতে পারে।

 

 

Symphony Z60 Plus এর দাম কত বাংলাদেশ মার্কেটে

Symphony Z60 Plus এই মোবাইলটি আশা করা যাচ্ছে, বাংলাদেশ মার্কেটে অফিসিয়াল ভাবে এর দাম ধরা হয়েছে ১১,২৯৯ টাকা মাত্র।

Symphony Z60 Plus ওভারভিউ

এহনকার দিনে স্মার্টফোন তো সবার দরকার। কিন্তু দামের ঠেলায় অনেকের সাধ থাকলেও সাধ্য থাকে না। তাদের জন্য সিম্ফনি কোম্পানি একটা কাজের জিনিস বাইর করছে। নাম দিছে Symphony Z60 Plus। এইটা দেখতে যেমন সুন্দর, কামেও তেমন জোশ।

দামাদাম কেমন?

দামাদাম ধইরা লন ১২ হাজার টেকার আশেপাশে। এই দামে যা যা পাইবেন, সেইটা শুনলে চোখ কপালে উঠার জোগাড়!

কী কী আছে এই ফোনে?

  • প্রসেসর: ফোনডা খুব ফাস্ট, আটকাবে না। Unisoc T616 নামে একটা চিপ আছে, যা গেম খেলতে আর ছবি তুলতে খুব কাজের।

  • র‍্যাম আর স্টোরেজ: ৬ জিবি র‍্যাম আছে, তাই ফোন হ্যাং করবে না। আর ১২৮ জিবি স্টোরেজ মানে ইচ্ছামতো ছবি, ভিডিও রাখেন। ভরার চিন্তা নাই।

  • ডিসপ্লে: ডিসপ্লেডা ৬.৬ ইঞ্চি। HD+ IPS LCD ডিসপ্লে, দেখলে চোখ জুড়াইয়া যাইবে। আবার গরিলা গ্লাস দিয়া প্রোটেকশন দেওয়া, তাই সহজে ভাঙবেও না।

  • ক্যামেরা: পিছনে দুইটা ক্যামেরা – ৫০ মেগাপিক্সেল আর ২ মেগাপিক্সেল। ছবি আর ভিডিও হবে একদম ঝাক্কাস। আর সামনের ক্যামেরাও ৮ মেগাপিক্সেলের, যা দিয়া সুন্দর কইরা সেলফি তুলতে পারবেন।

  • ব্যাটারি: ব্যাটারিডা ৫০০০ mAh-এর। একবার চার্জ দিলে সারাদিন আরামে চালাইতে পারবেন। ১৮ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং আছে, তাই তাড়াতাড়ি চার্জও হইয়া যাইবে।

  • ডিজাইন: ফোনডা দেখতেও সুন্দর। দুইটা রঙ আছে – একটা নীল, আরেকটা রুপালি। হাতে ধরলে আরাম লাগে।

আর কী কী সুবিধা আছে?

ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর আছে, যা দিয়া টাচ কইরাই ফোন খোলা যাইবে।Faces আনলক ও আছে। মানে মুখ দেখাইলেই কাম শেষ।

সবকিছু মিলায়া Symphony Z60 Plus একটা ভালো ফোন। যারা কম দামে ভালো জিনিস চান, তাদের জন্য এইটা একটা দারুণ অপশন। দেশি কোম্পানি, তাই সার্ভিসও সহজে পাওয়া যাইবে।

Symphony Z60 Plus Full Specifications

ক্যাটাগরি স্পেসিফিকেশন
সাধারণ তথ্য
ব্র্যান্ড Symphony
মডেল Z60 Plus
ডিভাইস টাইপ স্মার্টফোন
উন্মোচনের তারিখ ২০ জুন ২০২৩
অবস্থা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে
হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার
অপারেটিং সিস্টেম Android 12
চিপসেট Unisoc T616
সিপিইউ অক্টা-কোর, 1.6 GHz, 64-bit, 12nm
জিপিইউ Mali-G57 MP1
ডিসপ্লে
টাইপ IPS LCD
সাইজ 6.6 ইঞ্চি
রেজোলিউশন 720 × 1600 (HD+)
অ্যাসপেক্ট রেশিও 20:9
পিক্সেল ডেনসিটি 269 ppi
রিফ্রেশ রেট 90Hz
স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও 81.2%
প্রোটেকশন Gorilla Glass
ডিজাইন পাঞ্চ-হোল ডিসপ্লে
ক্যামেরা (পিছনে)
সেটআপ ডুয়াল ক্যামেরা
রেজোলিউশন 50MP (f/2.2, ওয়াইড) + 2MP
ফিচার AI, নাইট মোড, পোর্ট্রেট, HDR, স্লো-মোশন, প্যানোরামা ইত্যাদি
ভিডিও 1080p @30fps
সেলফি ক্যামেরা
রেজোলিউশন 8MP (f/2.0, ওয়াইড)
ভিডিও 1080p @30fps
ডিজাইন ও বিল্ড
উচ্চতা 164 মিমি
প্রস্থ 75.6 মিমি
পুরুত্ব 8.65 মিমি
ওজন 190 গ্রাম
বডি ম্যাটেরিয়াল গ্লাস ফ্রন্ট, প্লাস্টিক বডি
রঙ Reflective Blue, Metallic Silver
ব্যাটারি
টাইপ Li-Poly (অপসারণযোগ্য নয়)
ক্ষমতা 5000mAh
চার্জিং 18W ফাস্ট চার্জ (৪৫ মিনিটে ০-৬০%)
স্ট্যান্ডবাই টাইম প্রায় 480 ঘণ্টা
টক টাইম প্রায় 20 ঘণ্টা
চার্জিং পোর্ট USB Type-C 2.0
মেমোরি
র‌্যাম 6GB
ইন্টারনাল স্টোরেজ 128GB (uMCP5)
এক্সপ্যান্ডেবল সর্বোচ্চ 256GB (মেমোরি কার্ড)
ইউএসবি ওটিজি সমর্থিত
নেটওয়ার্ক ও কানেক্টিভিটি
নেটওয়ার্ক 2G, 3G, 4G
সিম ডুয়াল সিম (ন্যানো + ন্যানো)
VoLTE সমর্থিত
ওয়াইফাই Wi-Fi 5 (802.11 b/g/n)
ব্লুটুথ v5.0
জিপিএস A-GPS সহ
ইউএসবি Mass Storage, USB Charging
হটস্পট সমর্থিত
সেন্সর ও সিকিউরিটি
ফিঙ্গারপ্রিন্ট সাইড-মাউন্টেড
ফেস আনলক হ্যাঁ
সেন্সর লাইট সেন্সর, প্রক্সিমিটি সেন্সর, এক্সেলেরোমিটার, কম্পাস
মাল্টিমিডিয়া
এফএম রেডিও আছে
লাউডস্পিকার আছে
অ্যালার্ট টাইপ ভাইব্রেশন, এমপি৩, ওয়েভ রিংটোন
ভিডিও প্লেব্যাক 1080p @30fps
অন্যান্য
উৎপাদন স্থান বাংলাদেশ
বিশেষ ফিচার Accelerometer, Proximity, Face Unlock

ভালো দিক

  1. শক্তিশালী প্রসেসর (Unisoc T616): এই দামে তুলনামূলক ভালো পারফরম্যান্স ও হালকা-পাতলা গেমিং সম্ভব।
  2. 6GB RAM ও 128GB স্টোরেজ: মাল্টিটাস্কিং ও বেশি অ্যাপ/ফাইল রাখার জন্য যথেষ্ট।
  3. uMCP5 স্টোরেজ প্রযুক্তি: ডাটা ট্রান্সফার ও অ্যাপ লোডিং স্পিড অনেক দ্রুত।
  4. 6.6 ইঞ্চি 90Hz ডিসপ্লে: স্ক্রলিং ও গেমিং আরও স্মুথ মনে হবে।
  5. 50MP ক্যামেরা: বাজেট ফোনের জন্য ভালো ছবি ও ফিচার সমৃদ্ধ (নাইট মোড, HDR, স্লো-মোশন ইত্যাদি)।
  6. 5000mAh ব্যাটারি: দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা যাবে চার্জ নিয়ে দুশ্চিন্তা ছাড়াই।
  7. 18W ফাস্ট চার্জিং + Type-C পোর্ট: দ্রুত চার্জ হয় এবং আধুনিক চার্জিং সুবিধা আছে।
  8. সাইড-মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ফেস আনলক: দ্রুত ও নিরাপদ সিকিউরিটি ফিচার।
  9. গরিলা গ্লাস প্রোটেকশন: স্ক্রিন কিছুটা সুরক্ষিত থাকে।
  10. বাংলাদেশে তৈরি: লোকাল প্রোডাক্ট হওয়ায় সার্ভিস ও যন্ত্রাংশ পাওয়া সহজ।

 দুর্বল দিক

  1. ডিসপ্লে রেজোলিউশন HD+ (720p): বড় স্ক্রিনে FHD+ না থাকায় ভিডিও ও গেমিং-এ ডিটেইল কম লাগতে পারে।
  2. প্লাস্টিক বডি: ডিজাইন ভালো হলেও প্রিমিয়াম ফিল কম।
  3. ফ্রন্ট ক্যামেরা 8MP: সেলফির জন্য মাঝারি মানের, প্রতিযোগী ব্র্যান্ডে বেশি মেগাপিক্সেল পাওয়া যায়।
  4. ওজন কিছুটা বেশি (190 গ্রাম): দীর্ঘক্ষণ হাতে ধরলে ভারি মনে হতে পারে।
  5. 5G সাপোর্ট নেই: ভবিষ্যতের নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির জন্য উপযুক্ত নয়।
  6. অতিরিক্ত ক্যামেরা (2MP) খুব কার্যকর নয়: মূলত শো-অফের জন্য, বাস্তবে তেমন কাজে লাগে না।

ব্যবহারকারীর বাস্তব অভিজ্ঞতা

দিন-দিনের ব্যবহারে পারফরম্যান্স

  • সমাধানমুলক মসৃণতা
    Unisoc T616 চিপসেট ও 6GB RAM থাকায় ফোনটি সাধারণ ইউজে — যেমন: ইন্টারনেট ব্রাউজিং, সোশ্যাল মিডিয়া, মেসেজিং, ইউটিউব দেখা — বেশ দ্রুত ও মসৃণভাবে চলে।
  • আনসেশনাল মাল্টিটাস্কিং
    RAM ও দ্রুত স্টোরেজ স্পিডের কারণে অ্যাপ একসাথে চালাতে ও সোয়াপ করতে খুব বেশি বিলম্ব থাকে না।

গেমিং ও ভিডিও ইমারসিভিটি

  • মাঝারী গেমিং পারফরম্যান্স
    অল্প থেকে মাঝারি গ্রাফিক্স-এর গেম (যেমন: পাবজি/ফ্রি ফায়ার) হাতে-কলমে চালানো যায়, তবে গেম ডিটেইল সেটিংস একটু কম রাখলেই ভালো অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়।
  • দামে তুলনামূলক হাই রিফ্রেশ রেট
    90Hz ডিসপ্লে স্ক্রলিং, UI এবং মুভমেন্টগুলো তুলনামূলক আরও সোজা ও চোখে স্বাচ্ছন্দ্যময় অনুভব হয়।

ক্যামেরা ও মিডিয়া রেকর্ডিং

  • খুব ভালো ক্যামেরা ফিচার
    50MP প্রধান ক্যামেরা নাইট মোড, HDR, প্যানোরামা, স্লো মোশন, প্রো মুডসহ অনেক ফিচার সমৃদ্ধ। ঠিক-ঠাক আলোতে ছবি তুললে সন্তোষজনক রেজাল্ট পাওয়া যায়।
  • সেলফি ও ভিডিও কল
    8MP ফ্রন্ট ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও কল বা সেলফি তুলতে অতটা ভালো না হলেও, দৈনন্দিন কাজের জন্য ঠিক আছে।

ব্যাটারি ও চার্জিং

  • আজীবন ব্যাটারি লাইফ
    5000mAh ব্যাটারির কারণে সাধারণ দিনে একবার ভালোভাবে চার্জ করলেই পুরো দিন ব্যবহার করা যায়। ব্যাটারি স্থায়িত্বে ফোনটি বেশ টেকসই।
  • দ্রুত চার্জিং সুবিধা
    18W Type-C ফাস্ট চার্জিং সুবিধা নিশ্চিত করে, প্রয়োজনে অল্প সময়েই বাজেটের তুলনায় উন্নত চার্জিং পাওয়া যাচ্ছে।

নিরাপত্তা ও ব্যবহারযোগ্যতা

  • সহজ ও দ্রুত আনলক অপশন
    সাইড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর এবং সেই সাথে ফেস আনলক ব্যবহার করলে ফোন আনলক করা খুব স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়, বিশেষভাবে এক হাতে ফোন ব্যবহারকালীন।
  • স্ক্রিন সুরক্ষা
    Gorilla Glass থাকা সত্ত্বেও, এটি পুরোপুরি স্ক্র্যাচ প্রতিরোধ করে না—তাই ক্যাস বা স্ক্রিন প্রোটেক্টর ব্যবহার করলে ভালো হয়।

ডিজাইন ও হ্যান্ডেলিং

  • আলোর ওন হাতের অনুভূতি
    190 গ্রাম ওজন সামান্য ভারী-ও লাগে, তবে 6.6 ইঞ্চি ডিসপ্লেকে ভালোভাবে হ্যান্ডেল করা সম্ভব।
  • চমৎকার ফিনিশ ও ফিনিশিং
    “Reflective Blue” ও “Metallic Silver” ফিনিশ অনেক ব্যবহারকারীর কাছে আকর্ষণীয়, কিন্তু প্লাস্টিক বডি প্রিমিয়াম ফিল দেবে না।

সামগ্রিক সমাপ্তি

সাধারণভাবে, Symphony Z60 Plus একটি রিয়েল-কেভাল, ব্যালেন্সড বাজেট ফোন হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করে। তবে এটি অপেক্ষাকৃত FHD ডিসপ্লে বা 5G সাপোর্ট ছাড়া কিছু সংখ্যক কমন স্ট্যান্ডার্ড মিস করে, যা উচ্চ মূল্যমানের ফোনে পাওয়া যায়। এ কারণে, যারা দাম এবং পারফরম্যান্সে ভারসাম্য চান, তাদের জন্য এটি একটি যুক্তিসংগত এবং কার্যকর পছন্দ হবে।

উপসংহার

মোটের উপর সিম্ফনি Z60 প্লাস ফোনটা বাজেট ফোনের মধ্যে বেশ ভালো একটা মাল। যাদের বেশি দামের ফোন কেনার মুরোদ নাই, তাদের জন্য এইটা খুব কাজের।

এই ফোনে যা যা আছে:

  • Unisoc T616 প্রসেসর: এইটা দিয়া মোটামুটি সব কাজ স্মুথলি করা যায়। গেম খেলতেও খুব একটা আটকাবে না।

  • ৬ জিবি র‍্যাম: র‍্যাম বেশি থাকলে ফোন হ্যাং করে না, তাই এইটা একটা প্লাস পয়েন্ট।

  • ১২৮ জিবি স্টোরেজ: অনেক ছবি, ভিডিও রাখা যাবে, চিন্তা নাই।

ডিসপ্লেডা ভালো, ক্যামেরাও খারাপ না। আর ব্যাটারি ব্যাকআপও বেশ ভালো, একদিন তো চোখ বুজে চলে যাবে।

তবে কিছু জিনিস একটু খটকা লাগতে পারে:

  • ডিসপ্লেটা ফুল এইচডি না, এইটা এইচডি প্লাস।

  • সামনের ক্যামেরাটা তেমন আহামরি না।

  • আর এই ফোনে ৫জি সাপোর্ট নাই।

কিন্তু ভাই, দামটা তো দেখেন! ১২ হাজার টাকার মধ্যে যা দিচ্ছে, সেইটা খারাপ না। যাদের দরকার লম্বা ব্যাটারি ব্যাকআপ, স্মুথ পারফরম্যান্স আর ভালো ক্যামেরা, তারা এই ফোনটা চোখ বন্ধ কইরা নিতে পারেন। পস্তাবেন না।

 

Leave a Comment